নিরুদ্দেশের চিঠি
স্বপ্নের ছায়ায় ঢাকা এই শহর,
নিরুদ্দেশের চিঠি এক বেদনার স্বর।
ঠিকানা নেই, নেই লেখকের নাম,
এক কুঁচকানো কাগজ, জ্বলে উঠেছে আগুনে।
অক্ষর কাঁপছে, হাওয়ার মতো, কথা বলে আবেশে,
নিরুদ্দেশের চিঠি, লেখা আছে অশ্রুর জলে।
কোথায় সেই পথ, কোথায় সেই গ্রাম,
যেখানে ফুটেছিল স্বপ্ন, গন্ধ ছিল ধানের?
শহরের জঙ্গলে হারিয়ে গেছি, নিজেকেই খুঁজে পাই না,
নিরুদ্দেশের চিঠি, এক হাহাকারের সুর গায়।
মাকে লিখেছি, ফিরবো একদিন, সোনার ঘর বানিয়ে।
কিন্তু রাস্তার ধুলায় মিশে গেছে সব, স্বপ্ন হয়েছে খণ্ড।
এখানে শুধু কংক্রিট, আর ধোঁয়ার কালো আয়না,
নিরুদ্দেশের চিঠি, এক বঞ্চিতের কান্না।
তুমি কি বুঝবে মা, এই শহরের নিষ্ঠুরতা?
কোনো হাওয়া দয়া করে না, কোনো তারা জ্বলে না।
এখানে স্বপ্ন বিক্রি হয়, ছোট ছোট কয়েনে,
নিরুদ্দেশের চিঠি, এক দুঃখের দলিল।
কিন্তু মা, আমি হার মানিনি, জ্বলে আছে এক আগুন,
এই অন্ধকার ভেদ করে, একদিন উঠবে সূর্য।
ফিরবো আমি গ্রামে, তোমার হাত ধরে, আবার হাসব,
নিরুদ্দেশের চিঠি, এক প্রতিজ্ঞার দাগ।
এই জ্বলন্ত কাগজ, উড়ে যাক আকাশে,
নিরুদ্দেশের চিঠি, পৌঁছে যাক সবার কাছে।
এক নয়, নিরুদ্দেশ এই শহরে হাজার হাজার আছে,
তাদের কথা শোনো, তাদের জ্বালা দেখো, তাদের হাত ধরো।
নিরুদ্দেশের চিঠি, শুধু একজনের না,
এক শহরের কান্না, এক দেশের গান।
স্বপ্নহারা শহরের ধ্বংসস্তূপে জ্বলে,
নতুন সূর্যের আলো, আশার ফুলে ফুলে।
COMMENTS